সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে মানহানির ২ মামলায় ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা দুটির কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে নথিও তলব করেছেন আদালত। রংপুর ও জামালপুরের জেলা আদালতে মানহানির এ মামলা দুটি করা হয়েছিল। তবে জামিন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত হলেও আরো মামলা থাকায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।
মামলা বাতিল চেয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ৮ নভেম্বর এ দুটি মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে তিনি আবেদন করেছিলেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালত রংপুর ও জামালপুরের দুই মানহানির মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে নথি তলব করেছেন।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’ ওই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি এ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে মাসুদা ভাট্টির কাছে ক্ষমাও চান।