সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল গতকাল বুধবার। কিন্তু এদিন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন সাবেক বিএনপি নেতা বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতের শাহবাগ থানার জেনারেল রেকর্ডিং (জিআর) শাখায় পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে দুর্নীতির একটি মামলা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট বাতিল করেন। পরে ২০১৭ সালের ৭ জুন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করেন। এমনই পরিস্থিতিতে ‘জামিন ছাড়াই বছর পার নাজমুল হুদা ও স্ত্রী’র শিরোনামে গত ৩০ মার্চ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
পরে আপিল বিভাগে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে। এরপর তিনি বুঝতে পারেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার জমাদারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ডেকে নিয়ে যান এবং বলেন— একটি মামলায় নাজমুল হুদার সাজা নিশ্চিত করতে একজন এমপি তাকে নগদ দুই কোটি টাকা দিতে চেয়েছেন, যাতে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হন। যদি দুই কোটি টাকা এবং আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার হুদার প্রদত্ত আড়াই কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজ আবেদনের বিপরীতে ব্যাংক গ্যারান্টির ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেন তবে তিনি ও তার স্ত্রীর মামলাগুলোয় মুক্তির ব্যবস্থা নেবেন। না দিলে ব্যাংক গ্যারান্টিতে উল্লিখিত হাইকোর্টের মামলার পুনঃশুনানি করবেন এবং ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজের পথ বন্ধ করে দেবেন। এই প্রস্তাবে তিনি সম্মত না হওয়ায় রায় পাল্টানো হয়েছে।
