খালেদা জিয়ার মনোনয়ন ফিরে পেতে আজ হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন তার আইনজীবীরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনটি মনোনয়ন আবেদনই খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পর পরই উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নেন খালেদার আইনজীবীরা। তারা মনে করছেন, হাইকোর্টে গেলে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি মনোনয়ন ফিরে পাবেন এবং আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
গতকাল রাতে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমরা আপিলের আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার জন্য ইসিতে আবেদন করেছি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, আগামীকাল (আজ) সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যাবে। আমরাও ওইদিনই হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব। আমরা বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নের আপিলের শুনানি হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বিরোধিতার মুখে ইসির সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমতের ভিত্তিতে গত সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার আপিল নাকচ করে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। ফলে খালেদা জিয়া আপাতত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেন, আমার কমিশনার রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন ও কবিতা খানম এই তিনজনের পক্ষে আমার রায় দিলাম। এই আপিল আবেদন মঞ্জুর হয়নি। পরে ইসি সচিব বলেন, ৪-১ ভোটে এই আপিল নামঞ্জুর হলো।