• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শিক্ষিকা কাবেরী হত্যা মামলার রায় ৩ জানুয়ারি

কৃষ্ণা কাবেরী

আইন-আদালত

শিক্ষিকা কাবেরী হত্যা মামলার রায় ৩ জানুয়ারি

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকার আদাবরে কলেজ শিক্ষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গতকাল রোববার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।

মামলায় একমাত্র আসামি গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ২০ এপ্রিল এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান, প্রায় চার বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচারে বাদীপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য শুনেছেন আদালত। তিনি বলেন, যেহেতু মামলায় অভিযোগ গঠনের পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসামি পালিয়ে গেছে, সেহেতু তার আত্মপক্ষ সমথর্নের শুনানি হয়নি।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় হামলায় মারাত্মক আহত ও দগ্ধ হয়ে পরদিন হাসপাতালে মারা যান আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডল (৩৫)। তার স্বামী সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বিআরটিএ’র প্রকৌশল বিভাগের উপ-পরিচালক ছিলেন।

ঘটনার পর তার বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সীতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল।

শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই জহিরুলের সঙ্গে সীতাংশুর পরিচয়। সীতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন জহিরুল এবং তার হামলায় কৃষ্ণার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করা হয় অভিযোগপত্রে।   

সে সময় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর সীতাংশু কুমার বিশ্বাসের ইকবাল রোডের বাসায় তার জন্য জন্মদিনের কেক, মিষ্টি ও মোমবাতি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান জহিরুল। কেক কাটার পর কৌশলে সিতাংশুকে চেতনানাশক মেশানো ফলের জুস খাইয়ে অচেতন করে তিনি হাতুড়িপেটার চেষ্টা করেন। তখন কৃষ্ণা বাধা দিতে গেলে তিনি স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই এলোপাতাড়ি পেটান। পরে মোমবাতি থেকে কৃষ্ণার শাড়ি ও ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায়। দগ্ধ কৃষ্ণাকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় কৃষ্ণার দুই মেয়েও হাতুড়ির আঘাতে আহত হয়। গ্রেফতারের পর আসামি জহিরুল বিচারকের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads