• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
তন্বী হত্যাকাণ্ডে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

তন্বী হত্যাকাণ্ডে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

তন্বী হত্যাকাণ্ডে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

  • নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজছাত্রী তন্বী রায়কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার দায়ে আসামি প্রেমিক রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালত এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত তন্বী রায়ের বাবা বিমল রায় জানান, আমার মেয়ে তন্বীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান তিনি। যাতে করে তার এমন শাস্তি দেখে দেশে খুন, ধর্ষণ ও নানা অপরাধমূক কর্মকাণ্ড কমে।

ওই আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে তন্বী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর শেরপুর রোডের ইউকে আইসিটি ইনস্টিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বাবা বিমল রায়। নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিনের মাথায় তন্বী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ শাখা বরাক নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ওই বছরের ৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের ওসি মো. আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে বি-বাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রানু রায়কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ও তন্বীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads