• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯
আবদুল মজিদসহ ৫ জনের রায় যেকোনো দিন

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

আবদুল মজিদসহ ৫ জনের রায় যেকোনো দিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নেত্রকোনার মাওলানা আবদুল মজিদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। আসামি পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

আদেশের পর মোখলেছুর রহমান বাদল জানান, মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় দেওয়ার জন্য মামলাটি সিএভি রখেছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করে এই প্রসিকিউটর বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের অপরাধ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত করা আসামি পক্ষের আইনজীবী গাজী তামিমের ভাষ্য, ‌প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের রাজাকার প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আবদুল খালেক তালুকদার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি রাজাকার ছিলেন না এ কথা ১৩৮জন মুক্তিযোদ্ধা লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছেন। অন্যদেরও প্রতিহিংসাবশত এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আসামিদের মধ্যে আবদুর রহমান (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুদিন আগে মারা যান। বাকিরা হলেন আবদুল মজিদ, আবদুল খালেক তালুকদার, কবির খান, আবদুস সালাম বেগ ও নুরউদ্দিন। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।

২০১৬ সালের ২২ মে এ ছয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ১৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক জানান, মজিদ মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামির নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খালেক তালুকদার একাত্তরে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে তিনি পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এ ছাড়া কবির খান মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন, বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্য। আবদুর রহমান, আবদুস সালাম বেগ ও নুর উদ্দিনও মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন, বতর্মানে তারা বিএনপির সমর্থক।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর ১টায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আবদুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীর পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় ২০১৩ সালে। শহীদ আবদুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির মামলাটি করেন। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads