• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
আব্বাস দম্পতির মামলার প্রতিবেদন ২০ মার্চ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

আব্বাস দম্পতির মামলার প্রতিবেদন ২০ মার্চ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ মার্চ ধার্য করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আজ রোববার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ প্রতিবেদন দাখিলে পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করে।

গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অনুসন্ধানকালে দুদকে দাখিলকৃত আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬টি, যার মূল্য ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের ১ লাখ শেয়ারের মূল্য ১০ কোটি টাকা, এফডিআর ও ডিপিএস-এ বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এক কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ প্রদান ৪৫ লাখ টাকা, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার ক্রয় ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যদিও তিনি মোট ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

আফরোজা আব্বাস দুদকে দাখিলকৃত ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের উৎস হিসাবে এম.এন.এইচ.বুলুর নিকট হতে দেড় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ এবং মা-বাবা ও বোনের নিকট হতে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন। তবে এর স্বপক্ষে কোনো দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। এছাড়াও বাকি অর্থ অর্জনের স্বপক্ষেও কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি।

মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধরা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ১৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads