• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
জেল কোড অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসা চলবে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ছবি : সংরক্ষিত

আইন-আদালত

জেল কোড অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসা চলবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০১৯

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গঠিত মেডিকেল বোর্ড ও জেল কোড অনুযায়ী কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

গত রোববার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে শুনানিতে খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক গতকাল এটি আদেশের জন্য রেখেছিলেন।

আদেশে বিচারক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতে মনোনীত হয়েছেন। খালেদা জিয়া কী অবস্থায় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পেতে পারেন তাও উচ্চ আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক আসামির চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে, সেহেতু উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাইরে আসামির দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানোর নির্দেশনা দেওয়ার কোনো সুযোগ বা এখতিয়ার আদালতের নেই।

আদালত আরো বলেন, এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার দাখিলকৃত দরখাস্ত আদালতে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণে আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত দুটি আবেদন নথিভুক্ত করা হোক, তবে আসামিকে উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন ১১৪৯৬/২০১৮ মামলার ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর তারিখের রায়ের নির্দেশ মতে এবং জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া বা অব্যাহত রাখার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ‘প্রচণ্ড অসুস্থ’ উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা আবারো চিকিৎসা করানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads