• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর মামলা

আপন জুয়েলার্স

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

আপন জুয়েলার্স

মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৯

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারসহ দুজনের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির অভিযোগে পুত্রবধূ মাহবুব পিয়াসা গতকাল সোমবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলা করেছেন।

মামলা দায়েরের পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালত নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমদের স্ত্রী। মামলার অপর আসামি হলেন আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।

বাদী  অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গে যৌথভাবে বসবাস করে আসছি। বিয়ের পর থেকে আমার শ্বশুর আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। আমাকে তালাক দেওয়ার জন্য সাফাতকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। তালাক না দিলে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেন।

বর্তমানে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করতেন। তিনি আরো বলেন, সাফাত বনানী রেনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এরপর তাকে নির্যাতনের বিষয়গুলো অবহিত করি। কিন্তু গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস সাফাতের জামিন বাতিল করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই আসামিরা গর্ভপাতের জন্য চাপপ্রয়োগ করেন।

পিয়াসা বলেন, গত ৫ মার্চ নিয়মিত গাইনি ডাক্তার দেখানোর অংশ হিসেবে এবং সাফাতের কোর্ট হাজিরা থাকায় তাকে (সাফাত) দেখার উদ্দেশে রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হই। দুই ঘণ্টা পর বাসার গেটে প্রবেশ করামাত্র শ্বশুর ও তার সহযোগী মোখলেছুর রহমান আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। এ সময় আমার কাছে থাকা দুই লাখ টাকা, গলায় থাকা পাঁচ ভরি স্বর্ণের নেকলেস, হাতে থাকা দুই ভরি স্বর্ণের চুড়ি ও দুটি হীরার আংটি, যার বাজারমূল্য আট লাখ টাকা, জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন।

বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে শ্বশুর আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন, এক্ষুনি বাসা থেকে বের হয়ে যা, তা না হলে গুলি করে মেরে ফেলব। পরের দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে গেলে আমার শ্বশুর আমাকে বলে, এই বাড়িতে কখনো প্রবেশ করলে তোকে জানে শেষ করে দেব। তিনি চড়-থাপ্পড় মেরে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ গাজী, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট সানোয়ার হক টিপু।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads