• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে বাংলা বিকৃত শব্দ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা

হাইকোর্ট

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে বাংলা বিকৃত শব্দ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৯

‘আমি আমার জীবনে ‘প্যারা’ শব্দ শুনিনি, ব্যবহারও করিনি... কোকাকোলা এটা কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে।’ গতকাল সোমবার কোমল পানীয় কোকাকোলার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃত শব্দ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটের শুনানির সময় আদালত এ প্রশ্ন করেন। রিটটি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হয়।

আদালতে রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা কোকাকোলার বোতল বিচারপতির সামনে হাজির করেন। রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, এ ধরনের ভাষার বিকৃতি বাংলা ভাষার জন্য অপমানজনক। অবিলম্বে বিজ্ঞাপনে ভাষার বিকৃতি বন্ধের নির্দেশনা চান।

কোকাকোলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া দেশের প্রচলিত আইনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কোনো অপরাধ নয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ কোকাকোলার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, পানীয়তে বাংলা না লিখলে কী হতো?

কোকাকোলার আইনজীবী উত্তরে বলেন, আমার ভালো লেগেছে লিখেছি। তখন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তাহলে লিখতেন পানির ঠেলি। তার কথায় ব্যাপক হাস্যরসাত্মকের সৃষ্টি হয় আদালতে। এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মধ্য ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়। পরে রিট আবেদনে ত্রুটি থাকায় রিটকারীর আইনজীবীকে সংশোধন করে আবারো আদালতে আসতে বলেন।

উল্লেখ্য, কোকাকোলার বোতলের গায়ে অস্থির, ফাঁপর, মাথা নষ্ট, জটিল, আগুন, পিছলা, আলু, জিনিস, গাব, সেই, ব্যাপক, জিরো, বাবা, আলপিন, আরকি ইত্যাদি শব্দ নামকরণ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে যা বাংলা ভাষার বিকৃতির শামিল বলে মনে করেন রিটকারী। এর বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads