• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘মুদ্রা পাচার রোধে তথ্য আদান-প্রদান সহজ করতে হবে’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

আইন-আদালত

‘মুদ্রা পাচার রোধে তথ্য আদান-প্রদান সহজ করতে হবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০১৯

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি চোরাচালান ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান সহজীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) এবং ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) মহাপরিচালক পর্যায় দুই দিনের আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের পর ভারতই হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। উভয় দেশচায় বাণিজ্য বাড়াতে। এক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা ক্রমশ সমাধান করা হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে তথ্যই হলো বড় শক্তি। তাই তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে দুই দেশের কাস্টমস ইন্টেলিজেন্সের মধ্যকার এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এতে চোরাচালান, অর্থপাচার, মুদ্রা পাচার, শুল্ক ফাঁকি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে আলোচনা তা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক।

গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমেই সম্ভব চোরাচালান, মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ ও জাতীয় নিরাপত্তা। তাই ডিজি পর্যায়ের বৈঠক এখন সময়ের দাবি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের দেবী প্রসাদ দাস বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারের জন্যই ডিজি পর্যায়ে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের বর্তমানে বাণিজ্যিক গ্রোথ ২৩ শতাংশ। আর বাণিজ্যিক ভলিউম ৮-১০ বিলিয়ন। দুই দেশের মধ্যে ৩১টি স্থলবন্দর রয়েছে। প্রায় সব বন্দর দিয়ে চোরাচালান ও মুদ্রাপাচার হয়।

বৈঠকে উভয় দেশই বাণিজ্য সহজীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। প্রথমবারের মতো এই বৈঠক হলো। এখন থেকে প্রতি বছর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছর বৈঠক হবে ভারতে। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা ত্বরিত খালাস, নিরাপদ সীমান্ত, বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পারক্রুসার কেমিক্যালের অবাধ পরিবহন চলাচল মনিটরিংপূর্বক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, তথ্য সহযোগিতা ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। 

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হাকিম, শামীমা আক্তার, যুগ্ম পরিচালক শাকিলা পারভীন প্রমুখ। দুই দিনের এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) ডিজিসহ ১৩ জন এবং ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) মুখ্য পরিচালকসহ আটজন অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads