• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
অগ্নিনিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

অগ্নিনিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০১৯

অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তায় বা অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় কী ব্যবস্থা আছে সে বিষয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে চার মাসের মধ্যে কমিটি করে বিস্তারিত আকারে এ প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ এ আদেশ দেন।এছাড়া সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, লোকবলসহ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স সক্ষমতা জানতে এক মাসের মধ্যে সংস্থাটির মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটসহ বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণসহ এ-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার রিট আবেদনটি করেন গুলশান সোসাইটির মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ পরে সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী আদেশ ও রুলের বাইরে আদালত ঢাকা শহরের মতো জায়গায় অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় যান্ত্রিক সুবিধা, লোকবলসহ সামগ্রিক কী কী ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন সে ব্যপারে বুয়েট-জাপান ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার প্রিভেনশন অ্যান্ড আরবান সেফটি বিভাগের কাছ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন নিয়ে তা দাখিল করতে বলেছে। স্বাধীন তদন্তের পর চকবাজার ও এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে, জনসচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অগ্নিদুর্ঘটনা ও মোকাবেলা বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক সূচি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনে জমি বরাদ্দের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, শিক্ষা এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় বহুতল ভবনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১০ তলা বা ৩৩ মিটারের ঊর্ধ্বে যেকোনো ভবন। আর অগ্নিপ্রতিরোধ আইনে অনূন্য সাত তলাবিশিষ্ট ভবনকে বহুতল ভবন বলা হয়েছে। আইনগত এই অসঙ্গতির কারণে ঢাকার ৭, ৮ ও ৯ তলা ভবনগুলো গড়ে উঠছে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই। রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে করা এক ভৌত জরিপ অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর এলাকায় সাততলা বা তার চেয়ে উঁচু ভবন আছে ১৬ হাজার ৯৩০টি। গত দুই বছরে নিশ্চিতভাবে তা এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। অগ্নিপ্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, এসব ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দুটি আইনে বহুতল ভবনের সংজ্ঞা দুই রকম হওয়ায় অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছাড়াই বেশিরভাগ আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads