• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
আরো দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আইনের খসড়া অনুমোদন

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

আরো দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আইনের খসড়া অনুমোদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

মন্ত্রিপরিষদে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৯’-এর খসড়ায় নীতিগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে বাংলাদেশের নতুন একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাবের অনুমোদন  দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সোমবার তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ধারা ৫৪টি, ৯ ধারায় আচার্য, ১০ ও ১১ ধারায় উপাচার্য, ১২ ধারায় উপ-উপাচার্য, ১৩ ধারায় ট্রেজারার, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট গঠনের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া ২১ ও ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল এবং ২৮ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান যুক্ত আছে। আইনের আলোকে ২৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই আইনেও ৫৪টি ধারা আছে। আচার্য, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের বিধান রয়েছে ৯ থেকে ১৩ নম্বর ধারায়। ১৪টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ দুটি নিয়ে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আটচল্লিশে উন্নীত হলো বলে জানান তিনি।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৯’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতদিন এটা ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত হচ্ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ বলে সামরিক সরকারের আমলের সব অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিদ্যামান আইনে পরিচালনা ‘বোর্ডের’ পরিবর্তে পরিচালনা ‘পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বোর্ডে কোনো সদস্য সচিব ছিল না। খসড়া আইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। এ জন্য খসড়া আইনে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ আইনের খসড়া অনুযায়ী, বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন হয় এমন কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পরামর্শক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারবে বোর্ড।  এছাড়া নতুন আইনে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তহবিলের উৎস হিসেবে সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে বৈদেশিক উৎস থেকেও অনুদান গ্রহণ করতে পারবে বলেও বিধান যুক্ত করা হয়েছে।  এ ছাড়া খসড়া আইনে মাদরাসা শিক্ষার ধরন, মেয়াদ, মান ও যোগ্যতার সনদ নির্ধারণের বিষয়ে বিধান যুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads