• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘খালেদার সাজা স্থগিতে বিবেচনা করা হবে’

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

‘খালেদার সাজা স্থগিতে বিবেচনা করা হবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২০

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদন করলে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত সাজা সাসপেন্ড (স্থগিত) করা হয় অনেকদিন সাজা খাটার পরে। অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা (সাজা স্থগিত) করে, করতে পারে।’ গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেন, জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাভোগ করেন, ৪০১ (১) ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় অনেক সময় সাজা স্থগিত করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন তবে সে ব্যাপারে সরকার দেখবে।

এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ২ বছর কারাগারে আটক রয়েছেন। তাই আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়াও তিনি একজন বয়স্ক অসুস্থ নারী, এ কারণেও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি জামিন প্রাপ্য।

দলীয় নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। আমরা আশা করি, সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। তাই আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী স্থগিত করে তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে দেশে/বিদেশে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads