• বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জৈষ্ঠ ১৪২৮
সিরাজগঞ্জে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আরও ৩ মামলা : গ্রেপ্তার ৪

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

সিরাজগঞ্জে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আরও ৩ মামলা : গ্রেপ্তার ৪

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিরাজগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি সভা করাকে কেন্দ্র করে একই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি আরো ৩টি মামলা হয়েছে। ৩ ফ্রেরুয়ারী দায়ের করা এসব মামলায় দলের বিভিন্ন ইউনিটের ১৪৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

এর আগে ২ ফ্রেরুয়ারী ২টি মামলায় ৭১ জনকে আসামি করা হয়। ওই সব মামলায় ৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর তারা জেলহাজতে রয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষে মোট মামলার সংখ্যা দাড়ালো ৫টি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শহরের গয়লা এলাকার আকমল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৭), একডালা মহল্লার আকতার হোসেনের ছেলে সেজান (২৩), একই এলাকার হরমুজ আলীর ছেলে এব্রা (৩০) ও আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন (৩০)।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম, একডালা মধ্যপাড়ার সুমির আলীর ছেলে সুমন এবং একডালা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাব্বির সেখ বাদী হয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ এনে সোমবার রাতে মামলা ৩টি দায়ের করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলাগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের আসামিরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন (কালা বেলাল), সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপু, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, পৌর যুবলীগের আহবায়ক এমদাদুল হক এমদাদ, ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক রিজভী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন, সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম। প্রায় প্রতিটি মামলায় একই ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, শনিবার বিকেলে শহরের একডালা এলাকায় ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের একটি অংশ সভা করে। ওই সভার বিষয়টি ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক মানিক মাহমুদ অবগত ছিল না। যে কারনে সভাস্থলে গিয়ে সে প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে মানিক মাহমুদসহ অন্তত: ৫জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা রবিবার বিকেলে শহরে মিছিল বের করে। এ মিছিলের পরই অপর পক্ষের নেতাকর্মীরা শহরে পাল্টা মিছিল বের করে। এরই একপর্যায়ে শহরের খেদন সর্দারের মোড়ে প্রতিপক্ষ দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদ ফালার আঘাতে গুরুতর আহত হন। সে বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এসব ঘটনায় ২ ফ্রেরুয়ারী আহত ছাত্রনেতা শুভ আহম্মেদের বড় ভাই জানপুর মহল্লার বকুল আহম্মেদ বাদী হয়ে ৫১জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনের বিরুদ্ধে এবং ছাত্রলীগ নেতা মানিক মাহমুদ আহত হওয়ার ঘটনায় তার চাচাতো ভাই নুরনবী হাসান রতন বাদী হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ অবস্থায় অপর পক্ষের সমর্থক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম তার ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ৩ ফ্রেরুয়ারী বিকেলে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ও একডালা মধ্যপাড়ার সুমির আলীর ছেলে সুমন বাদী হয়ে ছাত্রলীগের সভামঞ্চ ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ এনে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে এবং একডালা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাব্বির সেখ তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে (ঔষধের দোকান) হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads