• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা, আসামি হারুনের মৃত্যুদণ্ড

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা, আসামি হারুনের মৃত্যুদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২০

রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (০৬) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার ১নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ রায় দেন।

চলতি বছরের ২জানুয়ারি সায়মা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ২৩ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ৫মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। সেদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৯মার্চ দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদ গত ৮জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মোট ১৭জনের মধ্যে ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল বারী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিল। তাই তার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে বলেই তারা আশা করেছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিমের মো. আরজুন গত ৩০অক্টোবর আসামি মো. হারুন অর রশিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলার প্রথামিক তদন্তে সামিয়াকে আসামি হারুন অর রশিদ ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫জুলাই রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সামিয়াকে (৬) একটি নির্মাণাধীন আটতলা ভবনের ছাদের ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন আসামি হারুন অর রশিদ। ঘটনার পরদিন সামিয়ার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ৭জুলাই কুমিল্লা থেকে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads