• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কুষ্টিয়ায় শিশু হত্যার দায়ে গৃহবধুর যাবজ্জীবন!

কুষ্টিয়ায় শিমু হত্যার দায়ে গৃহবধুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আইন-আদালত

কুষ্টিয়ায় শিশু হত্যার দায়ে গৃহবধুর যাবজ্জীবন!

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ মার্চ ২০২০

কুষ্টিয়ায় তিন মাস বয়সী শিশু মুক্তা দাসকে হত্যার দায়ে শাপলা রানী দাস (২০) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত শাপলা রানী দাস সদর উপজেলার আলামপুর দাসপাড়া এলাকার বিশু কুমার দাসের স্ত্রী।

আদালত ও মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারী মুক্তার মা আল্লাদী দাস মুক্তাকে ঘুম পাড়িয়ে তার ভাইয়ে বাড়ীতে গেলে মুক্তার চাচাতো চাচী শাপলা মুক্তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ীর পিছনে টিউবওয়েলের পাশে ফেলে রাখে। পরে মুক্তার বাবা মা মুক্তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়, পুলিশ এসে বাড়ির পেছন থেকে মুক্তার মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মুক্তার দাদা সুনিল কুমার দাস বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারী কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাব্বানী সন্দেহভাজন হিসেবে শাপলা রানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাপলা রানী হত্যা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে শাপলা খাতুনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা । পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে শাপলার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেন। আসামী শাপলা রানী ছোট ছোট দুটি সন্তান থাকায় বিশেষ বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এর পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads