• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কোমড়ে দড়ি, হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয় সাহেদকে

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

কোমড়ে দড়ি, হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয় সাহেদকে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০২০

জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

এর আগে, পুলিশ মো. সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।

তাদের দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়। আর মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো।

মো. সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, তারা জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে।

তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক তাই তারা পালিয়ে যাবে না। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করে আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেনদ করেছিলাম।

মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছিলো র‍্যাব। আদালত আজ তাকেও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

পরে বুধবার ভোরে সাহেদকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র‍্যাব।

র‍্যাবের দাবি, তিনি নৌকাযোগে নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। নৌকায় ওঠার ঠিক আগ মূহুর্তে নদীর পাড় থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলেন র‍্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

গ্রেফতারের পর তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় ও ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে একটি অভিযান চালায় র‍্যাব।

পরে ব্রিফিংয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান যে, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সাহেদের একটি অফিস থেকে তারা জাল টাকা উদ্ধার করেছেন।

বুধবার বিকেলেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব।

টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।

তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ পলাতক ছিলেন।

তখন থেকেই র‍্যাব বলে আসছিল যে মো. সাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads