• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ওসি প্রদীপ-এসআই মশিউরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

আইন-আদালত

ওসি প্রদীপ-এসআই মশিউরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা

  • টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০২০

১০ লাখ টাকা দাবি করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আরো পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় টেকনাফের আবদুল জলিল নামের এক সিএনজি অটোরিক্সা চালককে 'বন্দুকযুদ্ধের' নামে হত্যার অভিযোগে আটক টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

নিহত আবদুল জলিল উপজেলার পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ আদালত (৩) এ এজাহারটি দায়ের করা হয়। বেলা ৩টার দিকে শুনানি শেষে এজাহারটি রুজু করে ওই ঘটনায় অন্য কোন হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কি না তা জানাতে টেকনাফ মডেল  থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহত আবদুল জলিলের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এই এজাহার দায়ের করেন। বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদির দায়ের করা ফৌজদারি এজাহারটি আমলে নেন। ওই কথিত বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত মামলার এহাজারসহ সকল কাগজপত্র আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করার জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে বাদী জানান, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর পারিবারিক কাজে কক্সবাজারে অবস্থানকালে একদল সাদা পোশাকধারী আল ফুয়াদ হাসপাতালের সামনে থেকে আবদুল জলিল ও তার সাথে থাকা রফিক উল্লাহ নামের একজন আটক করে। এরপর তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটকের ১২ দিন পর একটি জিআর মামলা করে রফিক উল্লাহকে আদালতে প্রেরণ করা হলেও আবদুল জলিলকে ছাড়া হয়নি। কিন্তু আটকের তিন মাস পর্যন্ত আবদুল জলিলের কোন খোঁজ পায়নি পরিবার। এর মধ্যে গত ৩ মার্চ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান জলিলের বাড়িতে গিয়ে তাকে ক্রসফায়ারে না দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। ১৬ মার্চ ৫ লাখ টাকা আদায় করেন আসামীরা। আটকের স্বীকার করলেও ৫ লাখ টাকা নেয়ার দুই তিন মাসও জলিলকে আদালতে পাঠায়নি পুলিশ। এর মধ্যে গত ১০ জুলাই জলিলকে টেকনাফ থানা হেফাজতে রয়েছে জানতে পারে পরিবার। তারপরও বহুবার তদবির করেও আবদুল জলিলকে আদালতে তোলা হয়নি। এর মধ্যে গত ৭ জুলাই রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া বড় ছড়া এলাকায় এনে সিএনজি চালক আবদুল জলিলকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন। 

আসামিরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া  ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই  মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মোঃ নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার, কাঞ্জর পাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলাম এর পুত্র মোঃ আমিনুল হককে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads