ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে গেছে।
আজ রোববার এ মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায়ের জন্য ১৬ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করে দিয়েছেন। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য রেখেছিলেন বিচারক।
এ ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামসুদ্দিন জুম্মন জানান, আসামিদের মধ্যে শম্পা আক্তার, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ ও আহসানুল কবির ইমন কারাগারে আছেন। আর রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, তাজুল ইসলাম তানু, মো. আসিফ ও গুলজার হোসেন পলাতক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার পর মৃতদেহের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেন, তার তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।