• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭৭ বার পেছাল

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭৭ বার পেছাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারো পিছিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৭৭ বার পেছালো।

সবশেষ গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে দাখিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএর প্রমাণ মিলেছে।

অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরে-বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরে-বাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাবকে। সেই থেকে ৮ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads