• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
শিশু মারজানাকে ধর্ষণের পর হত্যা,'খুনি'লক্ষ্মণ গ্রেপ্তার 

প্রতিনিধি পাঠানো ছবি

আইন-আদালত

শিশু মারজানাকে ধর্ষণের পর হত্যা,'খুনি'লক্ষ্মণ গ্রেপ্তার 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০২২

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় একটি নালা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে মারজানা হক বর্ষা নামে এক মেয়েশিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বস্তার সূত্র ধরেই আসামি শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।


পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রাতে লক্ষণ দাস নামের এক দোকান-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষণ দাস স্বীকার করেছেন, তিনি শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছেন। হত্যার পর শিশুটির লাশ চিনির বস্তায় ভরে নালায় ফেলে দিয়েছেন।


২৪ অক্টোবর বিকেলে সাত বছর বয়সী শিশুটি চিপস কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও শিশুটি বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তার খোঁজ চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশুটিকে না পেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বৃহস্পতিবার  বিকেলের দিকে থানা এলাকার একটি নালায় বস্তাবন্দী কিছু একটা দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করে।


পুলিশ বলছে, আলামত দেখে তারা ধারণা করছিল যে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কে এই ঘটনায় জড়িত, সে ব্যাপারে পরিবারের কোনো ধারণা ছিল না। পুলিশও সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে সন্দেহ করতে পারছিল না। পরে বস্তার সূত্র ধরে আসামি শনাক্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।


রহস্য কীভাবে উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হলো, সে বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ ছিল, আশপাশের কেউ এ ঘটনায় জড়িত। শিশুটিকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি চিনির বস্তা। আমরা এলাকার সব মুদিদোকান ও গুদামে গিয়ে চিনির বস্তা খতিয়ে দেখতে থাকি। একপর্যায়ে লাশ থাকা বস্তাটির সঙ্গে একটি মুদিদোকানের গুদামে থাকা চিনির বস্তার মিল পাই। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে গুদামের কর্মচারী লক্ষণ দাস ঘটনার দায় স্বীকার করেন।’


নোবেল চাকমা আরও বলেন, শিশুটিকে আগে থেকেই চিনত লক্ষণ দাস। ঘটনার দিন তিনি শিশুটিকে গুদামে ডেকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, গুদামের পেছনে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। শিশুটি চিৎকার দিলে শ্বাস রোধ করে তিনি হত্যা করেন। পরে শিশুটিকে বস্তাবন্দী করে গুদামের পাশের নালায় ফেলে দেন তিনি।


পুলিশ বলছে, তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এতেও দেখা গেছে, শিশুটি যেদিন নিখোঁজ হয়, সেদিন বিকেলে তাকে গুদামে নিয়ে যাচ্ছেন লক্ষণ দাস।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার লক্ষণ দাস চার মাস আগে আরেকটি শিশুকে গুদামে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন।
শিশুটির এক স্বজন বলেন, তাঁরা লক্ষণ দাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।



আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads