তিন বছর পূর্ণ করে দৈনিক বাংলাদেশের খবর আজ চতুর্থ বছরে পা রাখল। এ উপলক্ষে মতিঝিলে জাতীয় দৈনিকটির কার্যালয়ে চলছে আনন্দ-আড্ডা।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে আন্দন্দ উৎসবের সূচনা করেন বিডিজি-মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের খবরের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ আল ফয়সাল ও বাংলাদেশের খবর পরিবারের অন্যন্য সদস্য।
এর আগে বাংলাদেশের খবরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিকটির শুভকামনায় ছারছীনা দরবারের পীর মাওলানা শাহ সুফি মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় মোনাজাত হয়।
সংবাদপত্রকে এখন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ধরা হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে পত্রিকার ধারণা সামনে আসে। জার্মানিতে প্রথম সংবাদপত্র ছাপা হয় ১৬০৫ সালে। এরপর এ শিল্পের বিকাশ ঘটে সপ্তদশ শতাব্দীতে। ১৭০২ সালে ব্রিটেনে প্রথম দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়।
সংবাদপত্র এখন আর কেবল তথ্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং দেশপ্রেমের বিকাশ ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে অবিরত। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণআন্দোলনসহ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে সংবাদপত্র জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ কারণেই সংবাদপত্রকে বলা হয়ে থাকে সমাজের দর্পণ।
বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশের ইতিহাস অনেক দিনের। ১৮১৮ সালের ২৩ মে ‘সমাচার দর্পণ’ নামে প্রথম বাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে দেশে দুই হাজারের বেশি নিবন্ধিত সংবাদপত্র রয়েছে।
তবে নানা কারণে সংবাদপত্র শিল্প এখন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাগজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বেশিরভাগ সংবাদপত্রকে। এই বিরূপ পরিস্থিতিতেও দৈনিক বাংলাদেশের খবর পাঠক ও দেশের প্রতি তার দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন দৈনিকটির সম্পাদক আজিজুর রহমান ভূঁইয়া। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী খবর প্রকাশ এবং দেশের সংস্কৃতি চর্চায় ঘোষিত অঙ্গীকার রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
