রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপান- এই চার দেশের কাছে বড় ধরনের ভূমিকা আশা করছে বাংলাদেশ। গণভবনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এই প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
সোমবার জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পর্ষদ হিসেবে বিবেচিত নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের প্রতিনিধিসহ ৪০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখে বিদায় নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের গভীরতা বুঝতে তারা মিয়ানমারে যাচ্ছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেল নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের সভাপতি গুস্তাবো আদোলফো মেসা কুয়াদ্রা ভেলাসকাস।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপান এই সঙ্কট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি’। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথাও বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস সচিব আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর জোরালো চাপ সৃষ্টির জন্যও প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।” রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার যে চুক্তি করেছে সে অনুযায়ী মিয়ারমারের কাজ করা উচিৎ বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশ সীমান্তে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমারের সৈন্যদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা একে জাতিগত দমন অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেন।
মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার।
