• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মাত্র ১১০১ রোহিঙ্গাকে নিতে চায় মিয়ানমার

মাত্র ১১০১ রোহিঙ্গাকে নিতে চায় মিয়ানমার

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

মাত্র ১১০১ রোহিঙ্গাকে নিতে চায় মিয়ানমার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০১৮

বাংলাদেশের দেওয়া তালিকা থেকে মাত্র ১ হাজার ১০১ জন প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। তাদের দিয়েই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় দেশটি। এ তালিকায় মোট ৮ হাজার ৩২ রোহিঙ্গার নাম ছিল। সেই সঙ্গে আগের ধাপে যাচাই করা ৭৭৮ মুসলিম ও ৪৪৪ হিন্দু রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ২য় বৈঠকে গত বৃহস্পতিবার এমন আগ্রহের কথাই জানায় মিয়ানমার।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, টেকসই প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আস্থা ফিরিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে এখনো পরিবর্তন আসেনি মিয়ানমারের মানসিকতার। মিয়ানমারের চাহিদা অনুযায়ী, বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিবারভিত্তিক তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে।

বৈঠকে মিয়ানমারের কালক্ষেপণের মনোভাবই ফুটে উঠেছে। কিন্তু দেশটি সব দায় বাংলাদেশের ওপর চাপাতে চায়। বাংলাদেশের দাবি, মিয়ানমার তাদের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চালাচ্ছে। এজন্য তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আবারো বাংলাদেশকেই প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ট্রানজিট ক্যাম্পের সমাপ্তি, উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের মাঝে সচেতনতার প্রচার, যাচাই ফরম দেওয়া প্রভৃতি করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায় মিয়ানমার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ চায় মিয়ানমার সরকার যেন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাসহ ‘অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করে। তাদের গ্রামগুলো পুনর্গঠন, জীবিকার প্রবেশাধিকার, আন্দোলনের স্বাধীনতা ইত্যাদি যেন নিশ্চিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে উভয়পক্ষ ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা করে। দেশটির কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে জানায়, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দ্রুত এনভিসি কার্ড দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে তারা চাকরি করতে পারবে। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিডোতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ ও ভেন্যু এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

মিয়ানমারের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় দ্বিতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকের পর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা বাংলাদেশ থেকে যাচাই করা রোহিঙ্গাদের গ্রহণে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads