• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
সুহেলকে বিকালে ‘আটক’ দেখাল পুলিশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা সুহেল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন

সুহেলকে বিকালে ‘আটক’ দেখাল পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ জুলাই ২০১৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেলকে ‘ডিবি পরিচয়ে’ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুহেলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সেটা তিনি পরিষ্কার করেননি।

এর আগে ভোর ৫টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকি আক্তারের রাজধানীর চামেলীবাগের বাসা থেকে সাদা পোশাকের কয়েকজন সুহেলকে তুলে নিয়ে যায়। খোঁজ করলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি জানায়, তারা বৃহস্পতিবার ভোরে ওই নামে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমানও বলেছিলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।

লাকি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুহেল আমার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই। রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে এসেছিল। খেলা দেখা শেষে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর ৪টার দিকে দরজায় ধাক্কা শুনে সুহেলই আমার ঘুম ভাঙায়। আমি জানতে চাইলাম ‘কে?’ তারা পুলিশের লোক বলে জানালেন। বললেন, ‘দরজা খোলেন।’ আমি বললাম, ‘কেন দরজা খুলব, কী বিষয়?’ তখন তারা বলেন, ‘দরজা না খুললে ভেঙে ভেতরে ঢুকব।’ তখন আমি বলি, ‘ঠিক আছে, বাড়িওয়ালাকে ডেকে আনেন, তার উপস্থিতিতে আমরা দরজা খুলব।’ তখন তারা বাড়িওয়ালা চাচাকে নিয়ে এলে সাড়ে ৪টার দিকে আমি দরজা খুলি।’

লাকি বলেন, ‘তারা ১০ জনের মতো ছিলেন। ঘরে ঢুকেই পুরো বাসায় তল্লাশি চালান। এ সময় আমাদের মোবাইল ফোনগুলো জব্দ করেন। সেগুলো ঘেঁটে দেখেন। ল্যাপটপগুলোও ঘেঁটে দেখেন। তারপর দেড় ঘণ্টা ধরে আলাদা রুমে হাতকড়া পরিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুহেলকে নিয়ে চলে যান। এ সময় সুহেলকে কেন নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এই নামে কাউকে ডিবি আটক বা গ্রেফতার করেনি।

মহানগর পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, সুহেল আহামরি বড়মাপের কোনো নেতা নয় যে তাকে গ্রেফতার বা আটক করার ব্যাপারে রাখঢাক রাখতে হবে। কারা নিয়ে গেছে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads