• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
হত্যায় মদত ছিল বহির্বিশ্বের

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

আর্ট : রাকিব

জাতীয়

হত্যায় মদত ছিল বহির্বিশ্বের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৮

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যেসব দেশ বা দেশের রাষ্ট্রদূতরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তা ক্রমেই প্রকাশিত হচ্ছে এই একুশ শতকে এসেও। ফাঁস হচ্ছে ষড়যন্ত্রের নানাবিধ জাল।

শেষের দিনগুলোতে তাদের কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, কথা বলেছেন। তারা রাষ্ট্রপতি মুজিবের মানসিক অবস্থা বুঝতে গিয়েছিলেন সম্ভবত। অনুমান করা যায়, তাদের এই সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধুর ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারার’ মতো ছিল হয়তো।

১৫ আগস্ট সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর। এর এক দিন আগে ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ১৫ আগস্টের দশ দিন আগে ৫ আগস্ট দেখা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইএ বোস্টার। সর্বশেষ সাক্ষাৎপ্রার্থী ছিলেন ১৪ আগস্ট সংসদ সদস্য অধ্যাপক আজরা আলী, যিনি ১৫ আগস্ট মোশতাকের পার্শ্বচর হয়ে যান। এমনকি খুনিদের পক্ষে সাফাই গেয়ে অন্য সংসদ সদস্যদের মোশতাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মোশতাকের দল ডেমোক্র্যাটিক লীগও করেন। এ সময় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী সর্বাধিক সাক্ষাৎ করেছেন একা বা তিন বাহিনী প্রধানকে নিয়ে পৃথকভাবে।

রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের দৈনন্দিন সরকারি কর্মসূচিতে নজর দিলে দেখা যায়, সাক্ষাৎপ্রার্থীরা সাক্ষাৎকালে বেশি সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন, তা নয়। ১৫ থেকে ২৫ মিনিট সময়কাল তারা অতিবাহিত করেন। স্বল্প সময়ে তারা কি হাসিল করেছেন, তা স্পষ্ট হয় তাদের পরবর্তী কার্যক্রমে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কর্মরত অনেকেই পরে খুনিদের সঙ্গে হাতও মেলায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads