• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ধানমন্ডির সেই বাড়িটি বাঙালির তীর্থকেন্দ্র

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের বাড়ি

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

ধানমন্ডির সেই বাড়িটি বাঙালির তীর্থকেন্দ্র

  • হাসান শান্তনু
  • প্রকাশিত ১৫ আগস্ট ২০১৮

তিনতলা বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চোখ আটকে যায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। শিল্পীর তুলিতে আঁকা তাঁর গুলিবিদ্ধ অবস্থার প্রতিকৃতি। বাঙালির ইতিহাসে এর চেয়ে বেদনাবিধুর ছবি বা প্রতিকৃতি আর নেই। দোতলায় জাতির পিতার শয়নকক্ষ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিচে যাওয়ার সিঁড়িতে ঘাতকদের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এখনো সেখানে গুলির চিহ্ন আছে। সব মিলে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের স্মৃতি বহন করে চলা বাড়িটি যেন বাঙালির হূদয়বিদ্ধ হওয়ার স্বাক্ষর।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির এ দৃশ্য দেখে চোখের কোণে বেশ কয়েক ফোঁটা জল জমে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুপ্রভা দীপ্তির। মনে মনে ১৫ আগস্টের সেই তাণ্ডবলীলা, বর্বরতা কল্পনা করে শিউরে ওঠে সে। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকা এসেছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর দেখতে। দীপ্তিদের মতো গত রোববার সারা দেশ থেকে নানা বয়সী মানুষ এসেছিল বাঙালির অবিসংবাদিত নেতার স্মৃতিময় এ বাড়ি দেখতে। তাদের মধ্যে পঁচাত্তর সালের পরে যাদের জন্ম, এমন দর্শনার্থীই ছিল বেশি। বাড়িটির দেয়ালে দেয়ালে জমে থাকা কান্না দেখে চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে অনেক দর্শনার্থীর। তারা অভিশাপ দেয় ঘাতকদের।

এ বাড়িতে এলে বঙ্গবন্ধুর কাছে ছুটে আসা বলেই আজো মনে হয় পুরান ঢাকার প্রবীণ বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানু লাল দাসের। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকতে এ বাড়িতে কয়েকবার এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তার। এ বাড়িতে বসেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতেন বঙ্গবন্ধু। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতেন।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুনতানিহা রিয়া খুব বিস্ময়ের সঙ্গে বলে, ‘ধানমন্ডি লেকের পাশে এত সাধারণ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads