• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
কুরবানির পশু আসছে রাজধানীর হাটগুলোতে

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসছে রাজধানী ঢাকাতে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কুরবানির পশু আসছে রাজধানীর হাটগুলোতে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

পবিত্র ঈদুল আযহার আর কিছুদিন বাকি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কুরবানির হাটগুলোতে পশুর সংখ্যা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ট্রাকে করে গরু আসছে রাজধানী ঢাকাতে।

রাজধানীতে এ বছর মোট ২৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি ও দক্ষিণে থাকছে ১৩টি পশুর হাট। ইজারাকৃত নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে কোনও হাট বসতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

এদিকে হাটকে কেন্দ্র করে অজ্ঞানপার্টি, জালটাকাসহ সব ধরনের প্রতারণা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরইমধ্যে পশুর হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী। তবে কুরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী হাট বসে রাজধানী জুড়ে। দুই সিটি করপোরেশনে এবার কুরবানির পশুর হাট বসিয়েছে ২৩টি। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাটগুলো হলো উত্তরা ১৫ নং সেক্টর, ৩০০ ফুট সড়কের উত্তরে বসুন্ধরা হাউজিং, খিলক্ষেত বনরুপা, ভাটারা (সাইদ নগর), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক, মিরপুর সেকশন-০৬ ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর ডিওএইচএস উত্তরের খালি জায়গা ও উত্তর খান মৈনারটেক শহীদ নগর হাউজিং। তবে এবার আফতাব নগরে কোনও পশুর হাট নেই।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলাপুর বালুর মাঠ, মেরাদিয়া, উত্তর শাহজানপুর, কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের জায়গা, ঝিগাতলা, রহমতগঞ্জ, কামরাঙ্গীচর, আরমানিটোলা, ধূপখোলা, পোস্তগোলা, দনিয়া কলেজ, শ্যামপুর ও ধোলাইখাল। এরইমধ্যে হাটে পশু আনা শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। আস্তে আস্তে ক্রেতারাও আসছেন কুরবানির পশু কিনতে।

রহিম নামের এক ব্যাপারী জানান, হাটে গরু নিয়ে আসার পর কোনও সমস্যা হয়নি। শুধু পানির জন্য একটু সমস্যা।

খিলক্ষেত বনরুপা পশুর হাটের ইজারাদার মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রশাসনের কাছে আমরা এই দাবি রাখব, নির্ধারিত হাট ছাড়া রাস্তাঘাটে জ্যাম সৃষ্টি করে অবৈধভাবে যেন গরুর হাট না বসায়।

এদিকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনও ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে তারা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, মেক্সিমাম হাটগুলো হচ্ছে শহরের উপপ্রান্তে। যাতে করে শহরে যানজট না হয়, জনসাধারণের অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত হাটের বাইরে কোনও হাট বসতে দেয়া হবে না। সেইসঙ্গে জালটাকা শনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে।

হাটগুলোতে অসাধু চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দেয়া খাবার-দাবার খেয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে এইসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই আমরা হাটকেন্দ্রীক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জালটাকার কোনও মতেই যেন বিস্তার ঘটতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।

এদিকে হাটের ইজারাদাররা আশা করছেন দুয়েক দিনের মধ্যেই পুরোদমে জমে উঠবে পশু বেচাকেনা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads