জাতীয় আয়ে ধারাবাহিক উন্নতির প্রতিফলন উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় (জিএনআই) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৬১০ ডলার। এ হিসাবে এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪১ ডলার।
গত অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিএস। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তা উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, প্রাথমিক হিসাবে গত অর্থবছর ১ হাজার ৭৫২ ডলার মাথাপিছু আয় হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। চূড়ান্ত হিসাবে আয় কমেছে মাথাপিছু ১ ডলার করে।
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুবাদে গত এক বছরে দারিদ্র্যের হার কমেছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থবছর শেষে উচ্চসীমা অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ৮০ শতাংশে। আগের অর্থবছর এর হার ছিল ২৩ দশমিক ১০ শতাংশ। একই সঙ্গে কমে এসেছে নিম্নসীমা অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার, তথা চরম দরিদ্রের সংখ্যাও। মন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছর দেশে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। আর গত অর্থবছর শেষে তা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশে।
চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় কমে আসার কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম কমেছে। এ কারণে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় বাড়লেও ডলারের হিসাবে কমেছে।’ তিনি জানান, গত অর্থবছর টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকায় উন্নীত হয়েছে।