• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আমরা উদ্ধিগ্ন : মওদুদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ অক্টোবর ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী ও দলের স্থায়ী কমিটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

আজ রোববার দুপুরে আজ রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে চারজন আইনজীবী বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় মওদুদ আহমেদ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানান।

মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার পরিচারিকাকে তার সঙ্গে থাকতে দেওয়া, তার পছন্দমতো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং হাসপাতালের বাইরের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার বিষয়ে আদালতের আদেশের কথা তারা পরিচালককে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গাইনোকলজিস্ট ও ফিজিওথেরাপিস্ট যেন খালেদা জিয়ার পছন্দমতো হয়; হাইকোর্টের রায় অনুসারে। হাইকোর্টের রায়ে আরো আছে, হাসপাতালের বাইরের কোনো চিকিৎসককে যদি খালেদা জিয়া দেখাতে চান বা পরামর্শ করতে চান, সেটাও তিনি করতে পারবেন।

মওদুদ আহমেদ বলেন, আমাদের উদ্বেগের কথা আমরা হাসপাতালের পরিচালককে জানিয়েছি। আমি বলব, অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে উনি বলেছেন, তিনি অবশ্যই এটা দেখবেন যে হাইকোর্টের যে আদেশ আছে, সেই আদেশ অনুযায়ী যাতে তার (খালেদা জিয়ার) পছন্দমতো চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করানো যায়।

আদালতের নির্দেশে গতকাল শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালের ভিআইপি ডিলাক্স ৬১১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। গতকালই কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন।

মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন চিকিৎসক ডা. এম এ জলিল (মেডিসিন) ও সহকারী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক (নিউমটোলিজ), অধ্যাপক সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক নকুল কুমার দত্ত (অর্থোপেডিক্স)। এর মধ্যে সজল ব্যানার্জি ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত আরেকজন চিকিৎসককে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গত ৪ অক্টোবর উচ্চ আদালত বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন। ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রিট করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads