• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’র দুর্ঘটনায় হতাহত ৮টি পরিবারকে বীমা দাবির চেক দেওয়া হয়

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনায় হতাহতদের ইন্সুরেন্সের অর্থ প্রদান

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৮

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’র দুর্ঘটনায় হতাহত ৮টি পরিবারকে আজ বুধবার সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান বীমা দাবীর চেক প্রদান করেছেন।

মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে ‘সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড’ এর পক্ষ থেকে এই অর্থ দেয়া হয়।

এদের মধ্যে ছয়টি নিহত পরিবারের প্রত্যেককে ৫১ দশমিক ২৫০ ইউএস ডলার করে ৩ লাখ ৭ হাজার ৫০০ ইউএস ডলার ও আহত ২ পরিবারকে ৪২ হাজার ইউএস ডলার করে দেয়া হয়। হতাহত ৮ পরিবারকে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ, এর আগে গত ৬ আগস্ট আরও আটটি পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের ৫১ হাজার ২৫০ ইউএস ডলার করে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৯টি পরিবারের মাঝে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে বলে আইএসপিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়।

দুর্ঘটনায় ইউএস বাংলা’র বিমানটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ায় সার্ভেয়ার কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী বিমানটির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা ইতোমধ্যে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে।

প্রত্যেক নিহত যাত্রীর ক্ষেত্রে নূন্যতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার ২৫০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। সংশ্লিষ্ট যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ভিত্তিতে আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ।

সেনা কল্যাণ সংস্থার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান “সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড” বিগত ৩ বছর যাবৎ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে ।

চলতি বছরের ১২ই মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার পর অবতরণকালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয় । বিমানটিতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন।

তাদের মধ্যে ৪ জন ক্রু’সহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা যাত্রী নিহত হন । এছাড়াও দুর্ঘটনায় ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক আহত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads