• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
দাবি না মানলে ফের ধর্মঘট, ৩ সপ্তাহের আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

দাবি না মানলে ফের ধর্মঘট, ৩ সপ্তাহের আল্টিমেটাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৮

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে নতুন করে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। আইনটি আগামী ২১ দিনের মধ্যে সরকার সংস্কার না করলে ফের ৯৬ ঘণ্টার কর্মবিরতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই। একটা আইন চাইলেই হুট করে পরিবর্তন করা যায় না। এজন্য সরকার আমাদেরকে সময় দিতে পারে। আমরা সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পেলেই খুশি। যে আইন হয়েছে সেটা আমাদের কাজের পরিপন্থী। আমরা জীবন বাঁচা মরার আশঙ্কা নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবো না।

তিনি আরো বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শেষ হচ্ছে। আগামী কাল থেকে ২১ দিন গণপরিবহণ চলাচল করবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা সরকারকে আমাদের দাবির ব্যাপারে অবহিত করবো। সরকারকে লিখিত ও মৌখিকভাবেও জানানোর চেষ্টা করবো। আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নিলে ২১ দিন পর আবারও ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাবো।

ওসমান আলী বলেন, এই ২১ দিনের মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ও দেশের বড় বড় টার্মিনালগুলোতে মিটিং মিছিল ও সমাবেশ করবো। সেখানে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করা হবে।

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর আটটি ধারা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। এই সময়ের মধ্যে নতুন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তন করা না হলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ধর্মঘট ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা গত ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশ।

এর আগে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনকালে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। রাজধানীর রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও চালকদের পথরোধ করে তারা মবিল মাখিয়ে দেয়। এমনকি চালকদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি গাড়িতে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সড়কে কোনো ধরনের গণপরিবহন না থাকায় বিশেষ করে দিশেহারা চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা। জীবনের তাগিদে অনেক মানুষ হেঁটে গন্তব্যে যান। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা চললেও তা যাত্রীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। আবার এসব পরিবহনে ভাড়াও বেড়েছে কয়েকগুণ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads