• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
প্রত্যাবাসন শুরু ১৫ নভেম্বর

বাংলাদেশে অবস্থান কারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব জানালেন

প্রত্যাবাসন শুরু ১৫ নভেম্বর

প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে জাতিসংঘ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ নভেম্বর ২০১৮

আগামী ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে এবং এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। সব ঠিক থাকলে প্রথম ব্যাচে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবির থেকে তাদের নিজেদের জন্মভূমি মিয়ানমারে যাওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রোহিঙ্গাদের যে তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই তালিকা একই দিন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-কেও হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো কারণ নেই।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারকে ২২ হাজার ৪৩২ জন রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকাও হস্তান্তর করেছি। ১৫ নভেম্বর প্রথম দফায় প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। কারণ সভায় ঠিক হয়েছে, তালিকা হস্তান্তরের ১৫ দিনের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল হক বলেন, ভারত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৮৫টি বাড়ি বানিয়েছে আর চীন এক হাজার বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম এনেছে। প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু হলে ধারাবাহিকভাবে বাকিরাও ফিরে যাবে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার চারটি আইডিপি ক্যাম্পও বন্ধ করে দিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস (আইসিআরসি) দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় বসবাসকারী সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু করবে। তাদের আগের বসতভিটা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হওয়ায় তারা সরাসরি ফেরত যেতে পারবেন।

গত সপ্তাহে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) তৃতীয় বৈঠক শেষে জেডব্লিউজির সম্মিলিত দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে যায় জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের জেডব্লিউজির সদস্যরা কথা বলেন। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, দেশে ফিরে গেলে তারা চলাফেরা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কাজের সুযোগ পাবেন।

‘আপনারা জানেন, বহু আগেই জাতিসংঘের সব সংস্থা বিশেষ করে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। মিয়ানমারও অনুরূপ চুক্তি করেছে। বাংলাদেশ সরকার ঠিক করেছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ প্রক্রিয়া শুরু করার’, বলেন শহিদুল হক।

তিনি বলেন, যখন দেশটির জেডব্লিউজি সদস্যরা ক্যাম্প ভিজিটে গেছেন সেখানে ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বসেছেন এবং তাদের প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads