• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯
সজ্জন রাজনীতিককে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন জাতি

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

সজ্জন রাজনীতিককে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন জাতি

# ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি স্থগিত # আজ সন্ধ্যায় আসছে মরদেহ #রোববার বনানী কবরস্থানে দাফন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জানুয়ারি ২০১৯

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো জাতি। সারা দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই নেতার মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সবাই শোক জানিয়েছেন। নিপাট পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে দেশব্যাপী সুনাম রয়েছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। নির্মোহ ও সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। সজ্জন, মিষ্টভাষী, নির্লোভ ও নিরহঙ্কারী নেতা হিসেবে দল এবং দলের বাইরেও সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বেঁচে থাকবেন তার কাজে, রাজনীতিতে তার অবদানে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকায় গত বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথ নিতে পারেননি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য অনোয়ারুল কবির বাংলাদেশের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল (আজ) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছাবে।

আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহে আরো দুই দফা জানাজা শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সৈয়দ আশরাফের মৃতদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা তার মৃতদেহ গ্রহণ করবেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃতদেহ ২১, বেইলি রোডস্থ তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মৃতদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে মৃতদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরনো স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের তৃতীয় জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অতঃপর বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তার নীতি-আদর্শ-বিনয় আমাদের পাথেয় হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে আমাদের যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’ তিনি বলেন, লন্ডনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার সঙ্গে দুঃসময়ের দিনগুলোয় তিনি পাশে ছিলেন। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিদের সঙ্গ দিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। পেয়েছিলেন বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক জীবন। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন পরম নিষ্ঠার সঙ্গে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু শপথ নেওয়া হয়নি তার।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতি ছিল তার রক্তে। কারাগারে হত্যার শিকার জাতীয় চার নেতার একজন, মুক্তিযুদ্ধে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য সন্তান তিনি।

মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্ম নেন। ব্রিটিশ-ভারতীয় শিলা ঠাকুরের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। শিলা ঠাকুর লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন এবং ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর তিনিও মারা যান। তাদের মেয়ে রিমা ঠাকুর লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।

১৯৭১-এ স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর সদস্য সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হলে সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান। লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাসকালে তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন এবং যুবলীগের সদস্য হিসেবে লন্ডনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশি ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের শিক্ষা সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সৈয়দ আশরাফ সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। এরপর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। এক মাস এক সপ্তাহ দফতরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের অধীনে রাখা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন তাকে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে সৈয়দ আশরাফ প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত সৈয়দ আশরাফকে চিকিৎসার জন্য নভেম্বরে লন্ডনে নেওয়া হয়। পরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা স্বয়ং সৈয়দ আশরাফের জন্য ভোট চেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জবাসীর কাছে।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সহযাত্রী, একজন নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন মানুষ। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল গ্রেফতার হলে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে জিল্লুর রহমানের (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি দলের হাল ধরেন। দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের যে খেলা তখন চলেছিল তার বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। ওই বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে পরে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ২০১৬ সালের কাউন্সিলে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে নিয়ে যান শেখ হাসিনা।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল শুক্রবার। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন-পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। ওই বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা সব সাংগঠনিক ইউনিটকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সকালে শুধু জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বায়ান্নর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, সাতান্নর শিক্ষক ধর্মঘট, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীন বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সংগ্রামী ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ চার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। তবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করে ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads