• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

একুশের গ্রন্থমেলা

‘বইয়ের মলাট লেখকের ললাট’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

বইয়ের প্রচ্ছদের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিত্রশিল্পীরা। প্রতিবছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা যতখানি না বাণিজ্যিক তার চেয়ে বেশি মেলায় সংশ্লিষ্ট সবার মায়ের ভাষার প্রতি আকুলতা।

অমর একুশের এই মেলাকে ঘিরে বইয়ের প্রচ্ছদ, আর ভেতরটা রাঙিয়ে তুলতে রং- তুলি নিয়ে এখন ব্যস্ত শিল্পীরা। বইমেলার আগে শিল্পীদের কাজের পরিমাণ বাড়লেও প্রাণের বইমেলা কাজের গতিকে দেয় ভিন্ন মাত্রা। পাতা উল্টানোর আগে একটি বই আর পাঠকের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করে প্রচ্ছদ। পুরো বইয়ে লেখক কী বলতে চেয়েছেন তার চিত্রই তুলে ধরেন প্রচ্ছদ শিল্পীরা।

সৃষ্টিশীলতা দিয়ে প্রতিটি বইকেই নান্দনিক করে তুলতে চান তারা। চিত্রশিল্পী সোহাগ পারভেজ বলেন, ‘বইমেলা এলে আমাদের একটু ঘুরে দাঁড়াতে হয়। বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে কাজ আসে। তবে প্রচ্ছদে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ছাপ থাকতে হবে। আমি এ বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করি। শুধু প্রচ্ছদই নয়, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে ঘিরে শিশুদের বইয়ে অলঙ্করণের কাজের চাপও বেশি। বইয়ের কথার সঙ্গে মিলিয়ে দুই বা চারটি রঙে শিল্পীরা তার সারমর্ম তুলে ধরেন ছবিতে। চিত্রশিল্পী সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘সব পান্ডুলিপি পড়া আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে পান্ডুলিপিটা অন্তত দেখতে চাই। তবে পান্ডুলিপি বা ভূমিকা পড়ে ইলাসট্রেশনের কাজটা করি, আর পান্ডুলিপি পড়ারও চেষ্টা করি।

আরেক চিত্রশিল্পী চারু পিন্টু জানান, ‘বৈচিত্র্য আনার জন্য আমরা রঙ-তুলির ব্যবহার করি। শুধু গ্রাফিক্স দিয়ে অনেক সময়ই একটা প্রচ্ছদ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না। প্রযুক্তি এবং রং সকল মাধ্যমের মিশ্রণে প্রচ্ছদ তৈরি করি। বইয়ের মলাট, লেখকের ললাট- পুরান হয়েও চির নতুন এ কথা। তাই যুগের হাওয়ায় প্রচ্ছদ তৈরিতে প্রযুক্তির নির্ভরতা অধিক হলেও তুলির আঁচড়ের আবেদন এখনো আছে বলে মনে করেন শিল্পীরা। রঙ-তুলিই যে শিল্প এবং সংস্কৃতির সারমর্ম বিকাশে অনবদ্য এক মাধ্যম সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads