• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রোহিঙ্গা নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনার আহ্বান

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি

জাতীয়

রোহিঙ্গা নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনার আহ্বান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। এই সঙ্গে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই জনগোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের বাস্তবতা মানতে স্থানীয়দের প্রস্তুত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেওয়ার বদলে পৃথিবীর সব থেকে বিপন্ন ওই জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে বলেও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হলে পরবর্তী কয়েক দিনে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আর আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল তিন লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় তাদের নিজ দেশে ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয় ঢাকা।

গত বছর জানুয়ারিতে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিও হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ২২৫১ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মিয়ানমার টাইমস সে সময় দাবি করে, রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাখাইনে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এই অবস্থায় কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের একাংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

জাতিসংঘ বিশেষ দূত সম্প্রতি সেই  দ্বীপটিতে গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্যান্য ভবন পরীক্ষা করে দেখেছেন। সেখান থেকে ফেরার পর ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে মিয়ানমার এখনো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করেনি। তারা সেখানে হয়রানি ও নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। ফলে বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা নিশ্চিতভাবেই খুব শিগগিরই দেশে ফিরে যেতে পারছে না। তিনি বলেন, আমি সরকারকে আহ্বান জানাব তারা যেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এবং স্থানীয়দের এই বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত করেন।

ভাসানচর নিয়ে ইয়াংহি লি বলেন, সরকার এই দ্বীপ তৈরিতে প্রচুর পরিশ্রম করেছে। তারপরও আমি রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, জনমানবপূর্ণ এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে। কোনো রোহিঙ্গার সম্মতি ছাড়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে না বলেও সতর্ক করেন ইয়াংহি লি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads