• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
রাজপথ আঁকড়ে থাকার শপথ

রাজপথ আঁকড়ে থাকার শপথ

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

রাজপথ আঁকড়ে থাকার শপথ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারির ধর্মঘট ছিল বিস্ফোরণের পূর্বাভাস। সেদিন সবাই বুঝলেন, আন্দোলনকে আরো বড় করতে হবে। সম্পৃক্ত করতে হবে অন্য পেশাজীবীদের। সে উদ্দেশ্যে ছাত্রনেতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলের নেতাদের সভা হলো ৩১ জানুয়ারি। তাতে সভাপতিত্ব করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানী। ভালো করে গঠিত হলো ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ’। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দল, ছাত্র সংগঠন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্র ও পূর্ববঙ্গের বিধান পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ’-এ প্রতিনিধি নেওয়া হয়। কর্মপরিষদে ৪০-৪২ জন সদস্য ছিলেন। কর্মপরিষদের আহ্বায়ক নিযুক্ত হন কাজী গোলাম মাহবুব। পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল, সভা ও বিক্ষোভ হবে। তখন বাঙালির দাবি ছিল- উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হোক, তার সঙ্গে বাংলাকেও যুক্ত করতে হবে।

ওই সময় মুসলিম লীগ সরকারের আরেকটা চক্রান্তও চলছিল। আরবি হরফে বাংলা ভাষা লেখা হোক, এমন একটা প্রচেষ্টা ছিল তাদের। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এর বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করা হচ্ছিল। ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর মাঠে নেমে পড়ে ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ’। জনমত তাদের পক্ষেই ছিল। ২১ ফেব্রুয়ারির হরতাল, সভা ও বিক্ষোভ সফল করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন তারা। ভেতরে ভেতরে সবাই শপথ নেন- ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবি নিয়ে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত থেকে তখনই কেবল তারা ফিরবেন, যখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে মেনে নেবে শাসক গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads