বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব একটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করতে যাচ্ছে। সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এ কথা জানান। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত রোববার রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
জেনারেল আজিজ সৌদির যৌথ বাহিনী প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ সময় তিনি দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া সেনাপ্রধান সৌদির সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৮০০ সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবেন। এটি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের সৌদির বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং উন্নয়নকাজে নিয়োজিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সে দেশে বিভিন্ন সামরিক খাতে নিয়োজিত করারও প্রস্তাব দেন সেনাপ্রধান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকরা কাজের পাশাপাশি সে দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশনে (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেওয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করতে গেলে সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
