• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
আবারো বেদখলের আশঙ্কা কর্ণফুলীর তীর

কর্ণফুলীর তীর উচ্ছেন অভিজান

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

আবারো বেদখলের আশঙ্কা কর্ণফুলীর তীর

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চার দিনে ধরে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের কাজ চলছে। এই চার দিনে নদীর দুই তীরের দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। উদ্ধার হয়েছে পাঁচ একর জায়গা। তবে উদ্ধার হওয়া জায়গা দখলে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তা আবার বেদখল হওয়ার আশঙ্কা করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

যদিও কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের উদ্ধারকৃত জায়গায় সামান্য কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গা এখনো অরক্ষিত। এ অবস্থায় কর্ণফুলী রক্ষায় নদীর দুই তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং বিনোদনকেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে ২ হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১০ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত কর্ণফুলী নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অভিযান শুরু হয়। সদরঘাটের মাঝিরঘাট এলাকার বিবি মসজিদ হাবিব গলির মুখ থেকে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু করে জেলা প্রশাসন। পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমানের সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান তদারকিতে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। ইতোমধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৪০টি স্থাপনা। দখলমুক্ত হয়েছে ৫ একর জায়গা।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, তিন পর্যায়ে এ উচ্ছেদ চলবে। প্রথম পর্যায়ে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং বাংলাবাজার ঘাট, দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে পতেঙ্গা এবং সর্বশেষ পর্যায়ে কালুরঘাট ব্রিজ থেকে মোহরা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

চার দিন ধরে নগরীর সদরঘাট এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে উচ্ছেদের কাজ চলছে। পুনরুদ্ধার করা জায়গায় এখন পর্যন্ত শতাধিক গাছ লাগানো হয়েছে। এ অবস্থায় পুনরায় দখল ঠেকাতে জায়গার মালিক বন্দরের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক। অন্যদিকে নিজস্ব ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা কাঁটাতারের বেড়া এবং গাছ লাগিয়ে দখলে রাখব। এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি আমাদের থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরির সাহস না পায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, উদ্ধারকৃত জায়গার মধ্যে যে বিষয়টা আমরা প্রাধান্য দেব যেন নদীর নাব্য নষ্ট না হয়। নদী ভরাট যেন না হয়। সে বিষয় মাথায় রেখেই আমরা আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করব।

ফোরাম ফর প্ল্যানের সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, উচ্ছেদকাজ দ্রুতগতিতে করা দরকার এই জন্য যে, উচ্ছেদ সব সময় থেমে যায় বা লোক দেখানোর জন্যে কিছুদিন করা হয়।

তবে নদীর দুই তীরে ওয়াকওয়ের পাশাপাশি বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমেই কর্ণফুলী নদীর দখল ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

সিডিএর সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আমরা আশা করব এই নদীর পাড় পুনর্দখল বন্ধ করতে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলা। রাস্তা তৈরি করা এবং এই নদীকে ঘিরে যেন পর্যটন ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads