• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি

১৪৪ ধারা ভাঙার প্রস্তুতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির আগের দিনের ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত ছাত্রদের মধ্যে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ফজলুল হক হল, ঢাকা হল, মেডিকেল হোস্টেল, সলিমুল্লাহ হল— এর প্রতিটিতে ছাত্রদের ক্ষুব্ধ, উত্তেজিত মুখ। ধাতব অভিব্যক্তিতে প্রত্যয়ী মুখগুলোতে একটাই কথা— যেকোনো মূল্যে ভাষার ওপর আঘাত রুখতে হবে। ১৪৪ ধারার অন্যায় হুকুম চলবে না। এটাই কথা। আপাতত অন্য কোনো রাজনীতি নয়, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি নয়।

এমন চিন্তা রাজনীতি সচেতন ছাত্রদের মধ্যে গভীর হয়ে উঠেছিল বলেই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের মোহ তাদের মনে দাগ কাটেনি। সেই মুহূর্তে পেছনে চলে গেছে ছাত্রজীবন শেষে সোনালি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। তাই অনায়াসে বাজি রাখা গেছে শিক্ষাজীবন, ভবিষ্যৎ জীবিকা, এমনকি জীবনও।

সেদিন ছাত্রদের মনে একটা অনুভূতিই সত্য হয়ে ওঠে। ১৪৪ ধারা অগ্রাহ্য করে একুশের নির্ধারিত কর্মসূচি সফল করে তুলতে হবে। সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলেও একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে আর্টস বিল্ডিংয়ের আমতলার ছাত্রসভায় ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

ছাত্ররা সবাই ১৪৪ ধারা ভাঙার সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে নিজেরাই। রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, মিটিং শেষে ছোট ছোট মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলতে হবে রাজপথ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads