• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বাড়তি সময়ে মুখে হাসি প্রকাশকদের

বাড়তি সময়ে মুখে হাসি প্রকাশকদের

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

প্রতিদিনের বই মেলা

বাড়তি সময়ে মুখে হাসি প্রকাশকদের

  • সোহেল অটল
  • প্রকাশিত ০২ মার্চ ২০১৯

চিরাচরিত নির্ধারিত সময় পেরিয়ে এবার বর্ধিত সময়ে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এই সময়ের প্রথম দিন গতকাল মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত ছিল শিশু-কিশোর ও পড়ুয়াদের ভিড়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মেলার গুরুত্বপূর্ণ দুই দিন নষ্ট হওয়ায় প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার মেলা দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। আর এতে হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। বর্ধিত সময়ের প্রথম দিন গতকাল বেচাকেনা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল গ্রন্থমেলার শিশুপ্রহরে শিশু-অভিভাবকদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। এ যেন সব শিশুর আনন্দমেলা। বেলা ১১টার পর গ্রন্থমেলার দ্বার উন্মুক্ত করা হলে শিশুরা পছন্দের বই কিনতে মা-বাবার হাত ধরে মেলায় ঢুকতে শুরু করে। শিশুরা চত্বরের স্টল ঘুরে ঘুরে নিয়েছে গল্প, ছড়া ও কবিতার বই।

ছেলে তামজীদকে নিয়ে গ্রন্থমেলায় এসেছিলেন মা সেরাজুম মনিরা। তিনি বলেন, কয়েক দিন বৃষ্টি থাকার কারণে শেষ দিকে মেলায় আসতে চাইলেও আসা সম্ভব হয়নি। এখন এলাম, ছেলের সিসিমপুর দেখার ইচ্ছাও পূরণ হলো। বইও কিনব।

সাভার ইপিজেডের একটি গার্মেন্টসের প্রোডাকশন ম্যানেজার শামীম হোসেন। গত শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সাভার থেকে পরিবার নিয়ে গ্রন্থমেলা ঘুরতে এসেছেন। ব্যস্ততার কারণে এ বছর একবারও আসা হয়নি অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। সময় বাড়ানোয় ও আবহাওয়া ভালো এবং ছুটি থাকায় সে সুযোগে গ্রন্থমেলায় ঘুরতে এসেছেন। শামীম হোসেনের মেয়ে তিথি গ্রন্থমেলার শুরু থেকেই বায়না ধরেছিল মেলায় আসার জন্য। তিথির সিসিমপুরের বই পড়তে বেশ ভালো লাগে। বোনাস হিসেবে বাবার সঙ্গে শিশু চত্বরে সিসিমপুরের ইকরি, হালুমের পরিবেশনাও উপভোগ করে।

মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিসিমপুরের ব্র্যান্ড প্রমোটর রাইসুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও নির্বাচনের কারণে আমাদের শেষ দিকে বিক্রি ভালো হয়নি। সময় বাড়ানোতে আমরা খুবই খুশি। দুই দিনই ছুটি থাকায় শিশুপ্রহর থাকছে। আশা করছি বিক্রিও ভালো হবে।

এদিন মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের ভিড় দেখা গেছে ঢাকা কমিক্স, ঘাসফড়িং, প্রগতি পাবলিশার্সসহ বেশ কয়েকটি স্টলে।

মুক্ত প্রকাশের বিক্রয়কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। তবে বিকাল থেকেই বিকিকিনি বেড়েছে। এ দুই দিনে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব বলে আশা রাখছি। শিশু চত্বর ছাড়া গ্রন্থমেলার উভয় প্রাঙ্গণেও বইপ্রেমীদের কমবেশি পদচারণা ছিল।

বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে গতকালও মেলায় নতুন বই প্রকাশ হয়েছে ৮৬টি। বিভিন্ন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আজ শেষ দিনেও কিছু নতুন বই মেলায় প্রকাশ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads