• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘নারীরা সব কাজেই  বৈচিত্র্যের অধিকারী’

‘নারীরা সব কাজেই  বৈচিত্র্যের অধিকারী’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

উইমেন লিডারশিপ সামিটে বক্তারা

‘নারীরা সব কাজেই  বৈচিত্র্যের অধিকারী’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০১৯

স্বভাবতই নারীরা তাদের সব কাজে বৈচিত্র্যের অধিকারী। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করতে হলে তাদের এই গুণকে কৌশল প্রয়োগ করে কাজে লাগাতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে নারীদের নির্ভীক হয়ে গড়ে ওঠার জন্য উদ্যমী হতে হবে। তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সব বাধা অতিক্রম করতে হবে। আর স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য তাদের অবশ্যই দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দিতে হবে।

চতুর্থ উইমেন লিডারশিপ সামিটে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়ান হোটেলে দিনব্যাপী এ সামিটের আয়োজন করে উইমেন লিডারশিপ (উইল)। সামিটে প্রায় ৩৫০ জন অতিথি অংশ নেন। এবারের সামিটের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘নারীর কর্তৃত্ব ও দৃশ্যমানতা অর্জনে সৃজনশীল নেতৃত্ব ও বৈচিত্র্যতা’। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সামিটটি প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়ে আসছে। সামিটের পাশাপাশি আয়োজিত হয়ে থাকে ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল ও নেতৃস্থানীয় নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উইমেন ইন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, ‘নারীরা তাদের সব কাজে স্বভাবতই বৈচিত্র্যের অধিকারী। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে তাদের এই গুণকে কৌশলের সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানে নারীদের নির্ভীক হয়ে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্যমী হতে হবে। তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য তাদের সব বাধা অতিক্রম করতে হবে। আর স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য তাদের অবশ্যই সবল মনের পরিচয় রাখতে হবে।’

সামিটে ছিল দুটি কি-নোট সেশন, পাঁচটি প্যানেল ডিসকাশন, তিনটি ইনসাইট সেশন ও দুটি ব্রেকআউট সেশন। এসব আয়োজনে নারী-পুরুষ সমতা, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্যানেল ডিসকাশনের বিষয়বস্তু হিসেবে ছিল- সমষ্টিগতভাবে বাধাবিপত্তি অতিক্রম, সৃজনশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষতা সাধন, নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করা, মিডিয়ার পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যৎ নারী সিইও তৈরি করা। ইনসাইট সেশনগুলোতে ইএমকে সেন্টারে তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা, গ্রহণযোগ্যতাবিষয়ক আলোচনা এবং নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে আলোকপাত করা হয়। এছাড়া যৌন হয়রানিবিষয়ক প্রণীত নিয়মনীতি সম্পর্কে ব্রেকআউট সেশন পরিচালনা করে ব্র্যাক।

দিনব্যাপী এ সামিট দেশজুড়ে সব নারীর কণ্ঠস্বরকে একত্রিত করে নারী নেতৃত্ব এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আলোচনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়। তরুণ এবং অভিজ্ঞ নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে কীভাবে নারীদের জন্য আরো সুন্দর করে তোলা যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।

সামিটে বক্তব্য দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৬ জন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল। কি-নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন নেপাল থেকে আসা ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ও নির্বাহী কোচ সুমনা শ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন।

সামিটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তা হিসেবে ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান বিটপি দাস চৌধুরী; বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ; ঢাকা ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকিউলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও চেয়ারপারসন ড. জেবা ইসলাম সিরাজ; রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. রওনক জাহান; এক্সপ্রেশন্স লিমিটেডের ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ হেড ত্রপা মজুমদার; ইনক্লুসিভ এডুকেশন ও জেন্ডারবিষয়ক কনসালট্যান্ট ড. জোবাইদা আক্তার; ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম; গ্রামীণফোন লিমিটেডের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আযমান এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads