নিউজিল্যান্ডের পর এবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সতর্কবার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন এবং যারা সেখানে ভ্রমণে যেতে চান তারা যেন সব সময় সতর্ক থাকেন, বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে। সেখানকার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে গণমাধ্যম এবং স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের অনুরোধ করা হচ্ছে। ক্যানবেরাতে বাংলাদেশ মিশন তাদের সহায়তার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছে। দুটি নম্বরে ফোন করে তথ্য জানা যাবে। নম্বর দুটি হলো +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪৫০১৭৩০৩৫।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক হামলা চালালে ৫০ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হন। এর মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এছাড়া আরো তিনজন বাংলাদেশি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলার আগে তিনি নিজেকে একজন বর্ণবাদী অভিহিত করে ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার প্রকাশ করেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একজন সিনেটর এক বিবৃতি ইস্যু করে মসজিদে হামলার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেন। অস্ট্রেলিয়ার একজন আইনপ্রণেতার মন্তব্যের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদ বাড়তে পারে।
এর আগে গত সোমবার নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়ে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি বা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ। দেশটিতে যারা ভ্রমণের জন্য যেতে চাইছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও লিনউডের আরেকটি মসজিদে এক বন্দুকধারী ঢুকে গুলি চালিয়ে নামাজের প্রস্তুতিরত মুসল্লিদের হত্যা করে। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস এই সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত এবং আরো ৫০ জন আহত হন। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী। সে ওই হামলার দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচারও করে। এই হামলার ১৫ মিনিট আগে সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেইল করে হামলা চালাতে যাচ্ছে বলেও জানায়। তার এই নৃশংস ভিডিও পরে সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।