• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
এবারের আগুনেও সব গেল

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

এবারের আগুনেও সব গেল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ মার্চ ২০১৯

দুই বছর আগে গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটে লাগা আগুনে একবার নিঃস্ব হয়েছিলেন নোয়াখালীর ফকির আহমেদ। ওই সময় আগুনে তার ৬০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর ধারদেনা করে বহু কষ্টে নোয়াখালী বুনিয়াদি স্টোর নামের মসলার দোকানটি দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল শনিবার ভোরে লাগা আগুনে আবার পুড়ে নিঃস্ব হলেন তিনি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তার দোকানের সব জিনিসপত্র। ঘটনার পর চোখ মুছতে মুছতে বার বার সেই ছাইয়ের মধ্যেই কিছু খুঁজে বেড়াতে দেখা গেছে তাকে। বাবার এমন অবস্থা দেখে পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছিল তার ছেলেমেয়েরাও।

ফকির আহমেদ বলেন- ‘আপনারা তো জানেন ভাই, গতবার আমার দোকানসহ গোডাউন সবই পুড়ে শেষ হয়েছিল। এবারো আর কিছুই রইল না। গতবারের আগুনে সব মিলে আমার ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। অনেক ধারদেনা করে আবারো চালু করেছিলাম দোকানটি। এবারের আগুনেও সব গেল। ২০ লাখ টাকার জিনিস ছিল, নিজেই দেখুন আর কিছু নেই।’

তিনি বলেন- ‘আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে সবাই এই ব্যবসার দিকে তাকিয়ে ছিল। সংসার চলবে কেমনে আল্লাহ জানে।’

২০১৭ সালেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এই দোকানি। সেই সময়ে ফকির ও তার ছেলের বুকফাটা আর্তনাত কাঁদিয়ে ছিল সবাইকে।

ডিএনসিসি মার্কেটে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ৩০০ দোকান। এসবের মধ্যে ছিল বুনিয়াদি, কাঁচামাল, চালসহ অনেক নিত্যপণ্যের দোকান। আগুন সবই ছাই বানিয়ে দিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পোড়া ছাইয়ে শেষ সম্বলটুকু খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন দোকান মালিকরা।

কিন্তু শুধু ছাই ছাড়া আর কিছুই মেলেনি তাদের ভাগ্যে। তাই পোড়া ছাইয়ের ওপর বসে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে অনেক দোকানিকে।

গতকাল সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যারা। পরে সকাল পৌনে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল গুলশান-১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট। তখন দোতলা মূল বিপণিবিতানের পাশের কাঁচাবাজারও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। তারপর ওই বাজারটি নতুন করে গড়ে তোলার দুই বছরের মধ্যে আবার তা পুড়ে গেল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads