• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
‘নদী দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে’

লোগো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

জাতীয়

‘নদী দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকা শহরে এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষ দেখলে কখনো বুঝতেই পারবে না এখানে নদী ছিল। ‘নদী দখল হয়ে সেখানে বড় বড় বিল্ডিং হয়ে গেছে’। এখন তা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। সারা দেশে নদী দখলমুক্ত করতে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘দূষণ, দখলমুক্ত করি, নৌযাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ-ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি’ শীর্ষক স্লোগানে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, ইচ্ছা করলেই আমরা নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পারি। এতে সরকার এবং ইন্ডাস্ট্রি মালিকদের সদিচ্ছার প্রয়োজন। একটা সময় ছিল নদীতে কোনো নিরাপত্তাই ছিল না। বর্তমান সরকার নৌ-নিরাপত্তায় কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি প্রশ্ন তোলেন, নৌ-নিরাপত্তা কীভাবে হবে? ২৬ হাজার জাহাজ চলাচল করে সেখানে ৪ হাজারও পাইলট নেই। জাহাজ মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু ব্যবসা করলেই হবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখতে হবে। নৌ-দুর্ঘটনা হলে ইন্স্যুরেন্স না থাকায় ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নেওয়া যায় না। তাই ইন্স্যুরেন্স করার জন্য জাহাজ মালিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌ-নিরাপত্তার জন্য সরকার বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নৌ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছরে ড্রেজিং করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে মাত্র ৭টি ড্রেজার ছিল। বর্তমান সরকার তা ৪০টিতে উন্নীত করেছে। ভবিষ্যতে আরো ৩৫টি যোগ করা হবে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে নদী নিয়ে কাজ করছে। ঢাকার আশপাশে নদীগুলোসহ বাংলাদেশের সব নদীগুলো ড্রেজিং করা আমাদের লক্ষ্য। নদী দূষণ, নদী দখলমুক্ত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নদী নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কাজ করছে। বন্দরগুলো আরো যুগোপযোগী করতে আমরা কাজ করছি।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন এমআইএসটি’র অধ্যাপক ডক্টর রিয়াজ হাসান খন্দকার, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব-উল-ইসলাম, নৌ-পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, অধ্যাপক মীর তারেক আলী, ক্যাপ্টেন আরিফ মাহমুদ। এছাড়া নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম আলোচনা সভায় স্বাগত ভাষণ দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads