• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
পহেলা বৈশাখে সব ইউনিয়নে র্যালি

সরকারি উদ্যোগে সব ইউনিয়নে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা হবে

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

১৪২৬ সাল বরণে প্রস্তুত সরকার

পহেলা বৈশাখে সব ইউনিয়নে র্যালি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৯

আর মাত্র কয়েক দিন দিন বাকি নববর্ষ ১৪২৬ সালের। প্রতিবছরের মতো এবারো ১৪ এপ্রিল দেশজুড়ে হবে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ব্যাপকতা ও বৈচিত্র্য। প্রতিবারের মতো এবারো সারা দেশে বর্ষবরণ পালনে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজন হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। রমনার বটমূলে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এছাড়া সরকারি উদ্যোগে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বৈশাখী র্যালির আয়োজন হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় দৈনিকগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী  দেবেন। স্থানীয় প্রশাসন দেশের সব জেলায় কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

বাংলাদেশ  শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও বিসিক নববর্ষ মেলা, আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, কুইজ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট/একাডেমিসমূহ তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

বাংলা নববর্ষ উপলেক্ষ এদিন সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নত মানের বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। সব জাদুঘর ও প্রত্নস্থান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। শিশু-কিশোর, ছাত্রছাত্রী, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুরা বিনা টিকেটে প্রবেশ করতে পারবে।

স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অভিজাত হোটেল ও  ক্লাব বিশেষ অনুষ্ঠান ও বাঙালি খাবারের আয়োজন থাকবে। সব সরকারি/বেসরকারি টিভি, বাংলাদেশ বেতার, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলসমূহ রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্র্রচার করবে। ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৬’ উদযাপনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নববর্ষ ঘিরে কোথাও কোনো জঙ্গি হামলা বা সহিংসতার হুমকি নেই। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছে মন্ত্রণালয়। নববর্ষ উপলক্ষে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। স্বরাষষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি করা হবে, যাতে কেউ গুজব ও সহিংসতা ছড়াতে না পারে।

মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আগের দিন ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশ সবাইকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেবে। এবারো মঙ্গল শোভাযাত্রায় মাঝপথে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। মুখোশ রাখতে হবে হাতে এবং ভুবুজেলা নিষিদ্ধ।

বর্ষবরণের উদযাপন অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, উচ্ছৃঙ্খলতা ও নাশকতা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। সোহরাওয়ার্দী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, পুরান ঢাকাসহ পুরো ঢাকাকে নজরদারির মধ্যে আনা হবে। পুলিশ মনিটরিং শেলের মাধ্যমে পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ ও অবস্থান নজরদারি করা হবে। বসানো হবে আর্চওয়ে। মাদক নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিশেষ নজরদারি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads