• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
লাইফ সাপোর্টে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি লাইফ সাপোর্টে

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

লাইফ সাপোর্টে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৯

পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় দগ্ধ ফেনীর সোসাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন। সাড়ে ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি হাসপাতালে রাফিকে দেখতে যান। তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচার অবশ্যই হবে।

এদিকে, রাফির চিকিৎসায় রবিবার সকাল ১০টার দিকে বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. রাইহানা আউয়াল সুমিকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে আরো রয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক আবুল কালাম, অধ্যাপক নওয়াজেস খান, অধ্যাপক লুত্ফর কাদের, অধ্যাপক বিধান সরকার, অধ্যাপক মহিউদ্দিন, ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও জহিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়। এদিকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকার, নাশকতা, যৌন হয়রানি ও চেক জালিয়াতিসহ ফেনী এবং সোনাগাজী মডেল থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads