• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
ঐতিহ্যের কাঁঠালের নান্দনিক ভাস্কর্য

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

শ্রীপুরে প্রথম ভাস্কর্য স্থাপন

ঐতিহ্যের কাঁঠালের নান্দনিক ভাস্কর্য

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ ছিমছাম গোছালো। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে উপজেলা পরিষদকে সাজানো গোছানোর কাজ। চলছে সুন্দর সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে বিশাল আকারের আকর্ষণীয় এক প্রবেশ ফটক তৈরি করা হয়েছে। চলছে পুকুরের মাঝে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। বসানো হবে পানির ফোঁয়ারা। তবে সব সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে আগত সকলের নজর কেড়েছে শ্রীপুরের ঐতিহ্য রসালো কাঁঠালের নান্দনিক এক ভাস্কর্য। শ্রীপুরে এটাই প্রথম কোনো ভাস্কর্য স্থাপন। আর এতেই মানুষের আগ্রহও একটু বেশিই।

আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা চত্বরে উদ্বোধন করা হলো নান্দনিক এক কাঁঠালের ভাস্কর্য। সকালে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এ কে এম আলী আজম।এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রসাশক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতারের উদ্যোগে স্থানীয় অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এ ভাস্কর্যটি।

স্থানীয়রা জানান,উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে ৪টি কাঁঠালের সমন্বয়ে তৈরি সুউচ্চ এক নান্দনিক ভাস্কর্য। এর পাটাতনে টেরাকোটার কাজ চলছে। সেখানেও স্থানীয় অন্যান্য ঐতিহ্যের শৈল্পিক প্রকাশ ঘটানো হবে। ভাস্কর্যটিতে কাঁঠালের বেঁটায় সবুজ পাতা এর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঠিক কাঁঠালের রঙে রাঙানো হয়েছে ভাস্কর্যটিকে। এ ভাস্কর্য শ্রীপুরে ঐতিহ্য রসালো কাঁঠালের রূপকে আরো বেশি করে এখানে আসা মানুষকে পরিচিত করে তুলবে।

ভাস্কর মিলন রব জানান, দীর্ঘদিন ধরে এর কাজ করেছি দরদ দিয়ে। এর প্রতিটি আচরে আমার মমতা লেগে আছে। জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রতি এমনিতেই অগাদ ভালবাসা রয়েছে আমার। এ সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ইউএনও রেহেনা আকতার স্যার খুবই আন্তরিক ছিল এ ভাস্কর্য নিয়ে। তিনি সময় অসময়েই খোঁজ খবর রাখতেন। তার একটি লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো আজ। তাই এমন উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।এ ভাস্কর্য এ অঞ্চলের কাঁঠালের ঐতিহ্যকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করল।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন,  শ্রীপুর উপজেলায় প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হয়। এখানে উৎপাদিত কাঁঠালের স্বাদ ও রঙে ভিন্নতা আছে। এর কদরও রয়েছে দেশের যে কোনো প্রান্তেই। এই উপজেলায় উৎপাদিত কাঁঠাল দেশের সর্বত্র সমাদৃত। তা ছাড়া এখানকার কাঁঠাল দেশের বাইরেও যায়। এমন অন্যন্য বৈশিষ্টের কারণে এটি এখন স্থানীয় ঐতিহ্য। ফলের এই ঐতিহ্যগত বিষয়টিকে সর্বত্র পরিচিত করতেই এর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads