• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইসিডিডিআরবি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইসিডিডিআরবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০১৯

‘ফণী’-পরবর্তী টানা গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। এরই মাঝে সারা দেশে বেড়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়। প্রতিদিন শত শত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। ৩৫০ আসনের হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী। উপচে পড়া ভিড়ে হচ্ছে না স্থান সংকুলান। অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে টাঙানো তাঁবুতে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকদিনের গরমে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। প্রতিদিন গড়ে সাতশর মতো নতুন রোগী ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। ফলে পার্কিং এলাকায় তাঁবু টাঙিয়ে রোগী ভর্তি করেও সব রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮৪ জন। সারা দিনে এ সংখ্যা সাতশর কোটায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, কিছুতেই সুস্থ না হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ডায়রিয়া রোগীরা। এখানে আসার পর সবাই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।

আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন এখানে আসা অর্ধেকের মতো শিশু। বাকিরা বিভিন্ন বয়সের।

রাজধানীর কাঁচপুর এলাকা থেকে হাসপাতালে এসেছেন সোহাগ আলমগীর। তিনি সিনহা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে বিছানা থেকে মাথা উঠাতে না পেরে এক প্রতিবেশীর সহায়তায় আইসিডিডিআরবিতে এসে ভর্তি হন। আইসিডিডিআরবির তাঁবুর নিচে চিকিৎসাধীন সোহাগ আলমগীর জানান, এতক্ষণ বাসায় থাকলে মারাই যেতাম।

লক্ষ্মীপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রুবেল ১৪ দিন আগে একবার আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হন। তখন টানা তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বৃহস্পতিবার তিনি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আবারো আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads